বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Babul Supriyo Indranil Sen : ‘পাবলিক লাইফে থাকলে…!’ফেসবুক পোস্ট করে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তরজায় ইতি টানলেন বাবুল?

Babul Supriyo Indranil Sen : ‘পাবলিক লাইফে থাকলে…!’ফেসবুক পোস্ট করে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তরজায় ইতি টানলেন বাবুল?

ইন্দ্রনীল সেন ও বাবুল সুপ্রিয়। সংগৃহীত ছবি

প্রকাশ্য দুই মন্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। প্রকাশ্যেই একে অপরকে বিঁধতে শুরু করেন দুই গায়ক মন্ত্রী। এরই মধ্যে বুধবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করছেন বাবুল। সেই পোস্টের বার্তা থেকে স্পষ্ট, দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বে ইতি টানলেন বাবুল নিজেই।

বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার কিছু রদবদল করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রদবদলে সবচেয়ে চর্চায় বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল সেনের দফতর বদল। বাবুলের হাত থেকে পর্যটন দফতর নিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনকে। অন্যদিকে বাবুলকে দেওয়া হয়েছে অচিরাচরিত শক্তি দফতরের। তার পর থেকে প্রকাশ্য দুই মন্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। প্রকাশ্যেই একে অপরকে বিঁধতে শুরু করেন দুই গায়ক মন্ত্রী। এরই মধ্যে বুধবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করছেন বাবুল। সেই পোস্টের বার্তা থেকে স্পষ্ট, দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বে ইতি টানলেন বাবুল নিজেই।

সেই ফেসবুক পোস্টে বাবুল লিখেছেন,'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এবং ইন্দ্রনীলদা দু'জনেই নিজেদের নতুন দফতরের দায়িত্ব নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। পাবলিক লাইফে থাকলে বিতর্কের চাপ থাকবেই। আমাদের মধ্যে যে কথা হয়েছিল, তা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তথ্য ও প্রযুক্তি এবং নতুন অচিরাচরিত শক্তি - আমার এই দুটি দফতর নিয়ে আমি খুশি। নতুন দায়িত্ব পাওয়া দফতরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে সামলানো পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সিলেবাসের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের রাজ্যের নয়া পর্যটনমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাই। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার জন্য কাজ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।'

(পড়তে পারেন। ‘‌বিজেপির লোককে দুর্নীতির অভিযোগে ধরলে বেশি খুশি হবো’‌, বিস্ফোরক মন্তব্য রূপার)

প্রসঙ্গত, মন্ত্রীত্ব বদলের ইঙ্গিত প্রকাশ্যে আসতেই প্রকাশ্যে আসে বাবুল-ইন্দ্রনীলের বাকযুদ্ধ। বিধানসভার করিডরেই প্রকাশ্যে সেই বাকযুদ্ধের সূত্রপাত। পরে মন্ত্রীত্ব রদবদলের পর ক্যামেরার সামনেই পরস্পরকে বিঁধতে শুরু করেন। বাবুল বলেন, 'যে টেবিলে বসলে সম্মান থাকে না। সে টেবিল ছেড়ে আমি চলে যাই।' একে কটাক্ষ করে বলেন ইন্দ্রনীল সেন বলেন,'ও বাচ্চা ছেলে। সবে দলে এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওকে নিজের মতো রাখতে।'

দুই গায়ক মন্ত্রী বাকযুদ্ধ চলতেই থাকে। তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'আমি শান্তিতে দিনের শেষে গান গাইতে চাই। কোনও মনমালিন্য হয়নি এটা বললে কি বোঝাবে। কাকে বোকা বানাচ্ছি। মনের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।' পাল্টা সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন,'আমার কাজ গান গাওয়া। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন তা ডেলিভারি করা। আগামী দিনে নিশ্চয় ও এ ধরনের বিতণ্ডা করবে না! বিতণ্ডা কখন হয়, যখন কেউ রেসপন্স করে। আমি তো রেসপন্স করিনি। এখানেই শেষ নয় চলে আরও মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের স্রোত।

মাঝে আবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'আমি এমনি ভাল আছি। মন্ত্রিসভা মানেই তো আবার সেই চাপ, আবার দৌড়োদৌড়ি। তার থেকে রিটায়ারমেন্ট লাইফ ভাল কাটাচ্ছি।'

এ সব বক্তব্যের মধ্যে বাবুলের পোস্টটাই নবতম সংযোজন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ফেসবুক পোস্ট দিয়ে সংঘাতে ইতি টানলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী।

বন্ধ করুন