বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একাধিক দোকান। শনিবার ভোররাতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নেতড়া স্টেশন লাগোয়া চামড়ার কারখানায় আগুন লাগে। সেই আগুনের ফলে আশেপাশের দোকানগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্টেশন চত্বরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বহু দোকান পুড়ে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমেছে মালিকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে দিল্লির আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুনে পুড়ে মৃত্যু ৫ জনের
জানা গিয়েছে, নেতড়া স্টেশনের ১ এবং ২ নম্বর প্লাটফর্মের উভয় দিকে বাজার রয়েছে। তার মধ্যে ২ নম্বর প্লাটফর্ম লাগোয়া বাজারে একটি চামড়ার কারখানা রয়েছে। সেই কারখানাতেই প্রথমে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানগুলিতে। সব মিলিয়ে ১৫ টি দোকান আগুনের গ্রাসে চলে আসে। সেখানে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকানের দোকান ছিল। তাতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শব্দে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্টেশন লাগোয়া এলাকায়। এদিকে, ক্রমেই সবকিছু গ্রাস করতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা।
ঘটনায় খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চামড়ার কারখানায় শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। স্টেশনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে এই সময় যেহেতু ট্রেন বন্ধ থাকে ফলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা হয়নি। তবে আগুন লাগার ফলে ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। চামড়ার কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে কারখানার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে। সেক্ষেত্রে কি আদৌও কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ দিনের আগুন লাগার ঘটনায় চামড়ার কারখানার মালিককে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল করেছে বলে স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্টেশন লাগোয়া বাজারে আগুন লাগার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে কুলটি স্টেশনের গুদামে আগুন লাগে। এছাড়াও বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশন লাগোয়া বাজারেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।