ছোট ইলিশ ধরলে মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে ছোট ইলিশ ধরে কোনও ট্রলার ফিরলে বাতিল করা হবে তার পারমিট। বাতিল হতে পারে মৎস্যজীবীদের বায়োমেট্রিক কার্ডও। রাজ্যে বড় ইলিশের আকাল কাটাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অখিলবাবু।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না বড় ইলিশ। বর্ষার শুরু থেকেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে ২০০ – ৪০০ গ্রাম ইলিশে। যা চলতি ভাষায় খোকা ইলিশ নামে পরিচিত। ইলিশের দেখা নেই ভাগিরথী, রূপনারায়ণসহ রাজ্যের নদীগুলিতেও।
রাজ্যে বড় ইলিশের আকালের জন্য শুক্রবার সরাসরি মৎস্যজীবীদের দায়ী করেন অখিল গিরি। তিনি বলেন, ‘মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়ে বড় ইলিশ না পেলে ছোট ইলিশ ধরেই ফেরেন মৎস্যজীবীরা। লোকসানের বহর কমাতে এই কাজ করেন তাঁরা। ছোট ইলিশ ধরতে ট্রলারে লাগানো থাকে ছোট ফাঁসের জাল।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে অখিলবাবু জানিয়েছেন, ‘ছোট ফাঁসের জাল ধরতে নজরদারি শুরু করেছে মৎস্যদফতর। এবার থেকে কোনও ট্রলারে ছোট ফাঁসের জাল দেখা গেলে বাতিল হবে তার পারমিট। ছোট ইলিশ ধরে কোনও ট্রলার পাইকারি বাজারে বিক্রির চেষ্টা করলে বাতিল করা হবে তার মৎস্যজীবীদের বায়োমেট্রিক কার্ড।’
বলে রাখি, ছোট ইলিশ ধরায় রাশ টেনে ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। ইলিশের প্রজননের সময় বাংলাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এরাজ্যে তেমন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেক সময়ই তা মানা হয় না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি প্রতি বছর কয়েকশো টন ছোট ফাঁসের জাল বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ সরকার। যার ফলে ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ পায়। প্রজননের জন্য প্রবেশ করে পদ্মা, মেঘনা ও তার শাখানদীগুলিতে। মুখে হুঁশিয়ারি দিলেও শেষ পর্যন্ত অখিলবাবুর দফতর কটা ট্রলারের পারমিট বাতিল করতে পারেন সে প্রশ্ন লাখ টাকার।