শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা লুঠ করে তারা পালিয়েছিল। সেই ঘটনায় এখনও দুষ্কৃতীদের কোনও হদিস পায়নি পুলিশ। এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য গঠিত হয়েছে সিট। ঘটনার ৭ দিন কেটে যাওয়ার পর এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে সাহায্য নেওয়া হলো ফরেন্সিক বিভাগের।
বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক বিভাগের একটি দল ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। সে ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের কোথাও হাতের চিহ্ন রয়েছে কি না ফরেন্সিক দল তা খতিয়ে দেখে। ফরেন্সিক বিভাগের সহকারী অধিকর্তা চিত্রাক্ষ সরকারের নেতৃত্বে এদিন দুষ্কৃতীদের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। এই দলে ছিলেন দুজন সদস্য। তবে তাঁরা আদৌও সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের কোনও নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন কিনা সে বিষয়ে অবশ্য কোন মুখ খুলতে চাননি ফরেন্সিক অধিকর্তা।
শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ ব্যাঙ্ক খুলতেই হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দল। প্রথমে ক্রেতা সেজে তারা ব্যাঙ্কে ঢোকে। তার পরে নিজেদের আসল রূপ প্রকাশ করে। সেই সময় ব্যাঙ্কের ভিতরে অনেক সাধারণ উপভোক্তাও ছিলেন। ঘটনার পরেই শহর থেকে বেরোনোর সব রাস্তা, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনে বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি জেলার সব থানা এলাকায়নাকা তল্লাশি করা হয়। তার পরেও তাদের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডাকাতদলদের প্রত্যেকের পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। হাতে ছিল বন্দুক। হিন্দিতে কথা বলছিল। এখন ব্যাঙ্ক ডাকাতরা কোথায় গেল সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে ডাকাতরা প্রথমে বিসি রোড ধরে হেঁটে তারা কার্জন গেটে যায়। এরপর সেখান থেকে বাইকে চেপে চলে যায়।