প্রথমে ছেলেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং তারপরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা দেখে শিউরে উঠেছেন পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ। পুরুলিয়ার বেলগুমা লাইন থেকে একসঙ্গে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই দুটি মৃতদেহ স্পেশাল হোমগার্ড ও তাঁর ছেলের। মৃতের পরিবারের দাবি, নিজের ছেলেকে খুনের করে আত্মঘাতী হয়েছে সে। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? পুলিশ সূত্রে খবর, হেমন্ত হেমব্রম আগে মাওবাদী অযোধ্যা স্কোয়াডের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সরকার স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেয়। পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সব স্পষ্ট হবে।
পরিবার সূত্রে খবর, চাকরি পেয়ে স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে বেলগুমার পুলিশ লাইনে থাকতেন হেমন্ত। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। তখনই ৬ বছরের সন্তান সোমজিৎ হেমব্রমকে গলা কেটে খুন করে হেমন্ত এবং নিজে আত্মঘাতী হন। আজ, সোমবার সকালে তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
এখানে পুলিশ সুপারের বক্তব্য কী? এই ঘটনা নিয়ে পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হেমন্ত হেমব্রম তার ছেলেকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’