উড়ালপুলের নাম সম্প্রীতি হলেও এখানে বিচ্ছেদই ঘটেছে বেশি। কারণ একের পর এক পথদুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যু পরিবারে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রশাসনিক সভা থেকে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন এই উড়ালপুলে বারবার পথদুর্ঘটনা ঘটছে? তা জানতে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দুলাল দাসের কাছ থেকে। এবার সম্প্রীতি উড়ালপুলে পণ্যবাহী গাড়ি ও লরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার।
এই উড়ালপুলে একের পর এক মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। যা কানে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। গতকাল হেলিকপ্টারে করে হাওড়ায় ফেরার পর সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি জানান তিনি। আর তারপরই কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আর সম্প্রীতি উড়ালপুলে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। জারি করা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা।
ঠিক কী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে? কেএমডিএ’র বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর প্রশাসনিক বৈঠকে সম্প্রীতি উড়ালপুল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উড়ালপুলে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর ওই উড়ালপুলে অন্যান্য ট্রাফিক নিয়মেও নজর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার সঙ্গে বাটানগর ও বজবজ সংযুক্তকারী এই উড়ালপুল। এখানেই একাধিক পথদুর্ঘটনা ঘটেছে। ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে ঝুঁকিও বেশি। সম্প্রতি তারাতলা থেকে বজবজে যাওয়ার পথে সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় এক শিশু–সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী তিনি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন বিধায়কের কাছে।