বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফেরা নিশ্চিত হতেই দার্জিলিংয়ে চরমে পৌঁছল রাজনৈতিক উত্তেজনা। শক্তি প্রদর্শনে রবিবার সেখানে মিছিল করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাং গোষ্ঠীর এই ‘শান্তিমিছিল’-এ চোখে পড়ার মতো।
গুরুং তৃণমূলের হাত ধরতেই পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে ভুগতে শুরু করেছেন তামাংপন্থীরা। এদিন দার্জিলিং শহরের চকবাজার থেকে মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, পাহাড়ে যারা অশান্তি তৈরি করেছে তাদের আর পাহাড়ে ফেরার দরকার নেই।
গত ২১ অক্টোবর কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির হাত ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যের প্রস্তাব দেন বিমল গুরুং। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ কথার খেলাপ করেছেন। তাই আমরা NDA-র সঙ্গ ছাড়ছি। আমাদের লক্ষ্য পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য। যে সেই দাবিকে সমর্থন করবেন তাঁকেই আমরা সমর্থন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। তাই আমরা তৃতীয়বারের জন্য তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই।’
পরে জানা যায়, মাস তিনেক আগে দিল্লিতে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। পরে রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয় তাঁর।
গত কয়েকদিনে পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন গুরুং অনুগামীরা। বিভিন্ন জায়গায় গুরুংয়ের ছবিসহ পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁরা। সেই পোস্টার লাগানো নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পোস্টার ছেঁড়ার খবর এসেছে। গুরুংয়ে সামনে রেখে তৃণমূলের পাহাড় দখলের খেলায় তামাংপন্থীদের কী পরিণতি হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনীতির কারবারিরা।