পুজোর আর দেরি নেই। পুজো মানেই শুধু মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় নয়, খাবারের দোকানগুলিতেও দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। আর বিরিয়ানির দোকানগুলিতে ভিড় থাকে চোকে পড়ার মতো। বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির স্টল, হোটেল, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি। তাই পুজোর আগেই এই সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে যৌথভাবে হানা দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতর, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে প্রচুর নিম্নমানের খাবার বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। এ বিষয়ে তাঁরা মালিকদেরও সতর্ক করেছেন।
আরও পড়ুন: Zomato: নেশার ঘোরে ভিন রাজ্য থেকে ২,৫০০ টাকার বিরিয়ানি অর্ডার তরুণীর
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং দোকানে নিম্নমানের খাবার পাওয়া গিয়েছে। কোথাও ফ্রিজে মজুত করা ছিল পচা ভাত, আবার কোথাও বাসি মাংস। তা রান্না করেই বিক্রি করা হত বলে জানতে পারেন আধিকারিকরা। এছাড়াও বিরিয়ানিতে মেশানো ক্ষতিকর রঙ উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা। আবার বেশ কয়েকটি দোকানের কোনও বৈধ লাইসেন্স ছিল না। বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযানে নামেন আধিকারিকরা। তবে প্রথম দিন মালিকদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী দিনে নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও আধিকারিকরা তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রশাসন আগামী দিনে সেখানকার হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে অভিযান লাগাতার চালাবে বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বালুঘাটের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে অধিকাংশ দোকানেরই খাবারের মান খারাপ। তাছাড়া পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন নয়। প্রথম দিন শুধুমাত্র দোকানের মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে আগামী দিনে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁয় বাসি এবং পচা খাবার উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনই এই অভিযান বন্ধ হবে না। আপাতত অভিযান চলবে । এ বিষয়ে জেলাশাসকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও খাবারের মান কতটা খারাপ তা পরীক্ষা করা হয়নি। তবে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা যাবে না বলেই হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে বালুরঘাটের ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের বক্তব্য, খাবারের মান খারাপ রাখা যাবে না, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। সে বিষয়ে আগেই প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে। তবে সেই নিয়ম যদি কেউ না মানে তাহলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিতেই পারে। এ বিষয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। বরঞ্চ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সঠিক বলেই তারা দাবি করেছেন।