এমনিতেই খাবারে নাকি ভেজাল আছে শোনা যায়। এবার সামনে এলো ভেজাল নুন৷ রাজ্যজুড়ে ছেয়ে গিয়েছে ভেজাল নুনের কারবার বলে অভিযোগ৷ অজান্তেই এই নুন চলে যাচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক—সবার পেটে। তার জেরে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা জটিল রোগ৷ মস্তিষ্ক গঠনে সমস্যা থেকে শুরু করে স্নায়ু রোগও দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ৷ তাই ভেজাল নুনের কারবার বন্ধ করতে প্রত্যেক জেলায় জেলায় অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর৷
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ভেজাল নুনের কারবার বেড়ে চলেছে৷ এভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফা করার জন্য এমন কাজ করছে। এই ভেজাল নুনের প্রমাণ মিলেছে ডিসেম্বর মাসে রাজ্যজুড়ে হওয়া অভিযান থেকে৷ ১৪টি জেলার ১২৮টি পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করা নুনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ তাতে দেখা গিয়েছে ২৬টি নমুনায় গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ৷ এই ভেজাল নুনের কারবারে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম৷
এই ভেজাল নুন খেলে কী হয়? কতটা ক্ষতি হয় শরীরের? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী এই ঘটনায় চোখ কপালে উঠেছে স্বাস্থ্য কর্তাদের৷ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অনির্বাণ দলুই সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘নুনে আয়োডিন থাকে৷ আর এই আয়োডিন আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে৷ থাইরয়েড হরমোনের একটি অপরিহার্য উপাদান এই আয়োডিন। কিন্তু এই বাজেয়াপ্ত ভেজাল নুনে থাকে না সঠিক পরিমাণ আয়োডিন। তাই মানুষের শরীরে তা প্রবেশ করে একাধিক রোগ তৈরি করছে।’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই ভেজাল নুনের কারবার ঠেকাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে জেলায় জেলায় নিয়মিত নুনের দোকানে অভিযান চালানো হবে৷ অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ না জেনে এই নুন খেয়ে বিপদে পড়ছেন৷ সোডিয়াম–পটাশিয়াম স্তরে গণ্ডগোল হয়ে মানুষ মারা পর্যন্ত যাচ্ছেন। বাজারে খোলা নুনের ক্ষেত্রেই এই ভেজালের পরিমাণ বেশি৷