দুর্গাপুরে বাংলায় কথা বলায় এক বাঙালি যুবককে বাংলাদেশে যাওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ করলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ওই যুবককে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। নিজের দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করেছেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক। ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত পুলিশ বা প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ভাইরাল ভিডিয়োয় কী আছে? মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ‘এই ভয়ংকর ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একজন বাঙালি যুবকের বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছে দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে থাকা বিহারের তিন গুন্ডা এবং তাঁকে বাংলাদেশি বলেছে। তারপরই বাঙালি যুবক রেকর্ডিং শুরু করেন। তারা দাবি করতে থাকে যে বাঙালিদের অবশ্যই হিন্দি বলতে হবে, নাহলে বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। তারপর তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।’
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভিডিয়োয় গালিগালাজ আছে)
ওই ভিডিয়োর (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কথোপকথন শুনে অনুমান করা হচ্ছে যে বাংলায় কথা নিয়ে হিন্দিভাষী একজনের সঙ্গে বচসা হচ্ছে এক বাঙালি যুবকের। তিনি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলায় কথা বলতে হবে। তা নিয়েই বচসা শুরু হয়। পরবর্তীতে ওই বাঙালি যুবকের আঙুল ঘুরিয়ে ধরেন ওই হিন্দিভাষী যুবক। সেইসঙ্গে ওই বাঙালি যুবকের বাবা তুলে গালিগালাজ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওই হিন্দিভাষী যুবকের সঙ্গে আরও দু'জন ছিলেন। ভিডিয়ো তাঁদের কোনও বচসায় জড়াতে দেখা যায়নি।
আর সেই ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) নিয়েই সরব হয়েছে বাংলা জাতীয়তবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষ। ওই সংগঠনের তরফে প্রতিনিধিদের তরফে ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) টুইট করে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটকেও ট্যাগ করা হচ্ছে। ট্যাগ করা হয়েছে মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মলয় ঘটককেও।
বিষয়টি নিয়ে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, ‘বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশ চলে যেতে হবে?’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'ভারতে বাংলায় কথা বলা নিষিদ্ধ?' ভারতে থাকলে হিন্দি বলতেই হবে? দুর্গাপুরের ঘটনা। বাঙালি গর্জে ওঠ।' তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।