WBCS এবং WBCS পরীক্ষায় হিন্দি ও উর্দু ভাষা যুক্ত করার প্রতিবাদে সরব হল বাংলা পক্ষ। বাংলা জাতীয়তবাদী সংগঠনের দাবি, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঘোষণা করেছেন, তা বাংলা এবং বাঙালিদের জন্য একটা কালো অধ্যায়। অবিলম্বে সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘প্রতিটি রাজ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যভাষা বাধ্যতামূলক। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, আমাদের এখানে নেই। ধিক্কার, ধিক্কার, ধিক্কার। ধিক্কার জানাই রাজ্য সরকারকে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। এই সিদ্ধান্ত বলবৎ করা যাবে না।’ যদিও রাজ্য সরকারের তরফে আপাতত সেই বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি।
ঠিক কী ঘোষণা করেন মমতা? বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘WBCS এবং WBPS-তে উর্দু এবং সাঁওতালি ভাষাকে যুক্ত করা হল। হিন্দিটাও (যুক্ত করা হল)। নেপালি তো আছেই। বাংলা তো আছেই। হিন্দিকে যুক্ত করা হল।’ অর্থাৎ এবার থেকে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস' (WBCS) এবং 'ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস' (WBPS) সাঁওতালি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষাভাষী প্রার্থীরা নিজেদের ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: WBCS and WBPS exam: সাঁওতালি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় দেওয়া যাবে WBCS, PSC পরীক্ষা! ঘোষণা মমতার
আর ঠিক সেখানেই আপত্তি তুলেছে বাংলা পক্ষ। WBCS এবং WBPS-র মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব পরীক্ষায় হিন্দি এবং উর্দু যুক্ত করার প্রতিবাদে সরব হন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বাংলা এবং বাঙালির জন্য এক কালো দিন এবং এক কালো রাত। এই পশ্চিমবঙ্গে আজ বাঙালি জাতির জন্য এক কালো দিন, এক কালো রাত। আজ সারা ভারতে বাঙালি জাতির জন্য এক কালো দিন, এক কালো রাত।’
একইসুরে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, ‘ধিক্কার! ধিক্কার! ধিক্কার! হিন্দু-উর্দু (ভাষা-ভাষীদের) তোষণ করতে WBCS-এ বাংলা বাধ্যতামূলক (করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করার) জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার। ২০২১ সালে (বিধানসভা ভোট) বাঙালি বাঁচিয়েছিল, বহিরাগতরা নয়। ২০২৬ সালে বাঙালি হিসাব বোঝাবে। বাঙালির ক্ষতি এভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
আর রাজ্যের সিদ্ধান্ত নিয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে একটি রাজনৈতিক দলের এক মুখপাত্রের টিপন্নি, ‘নিজের বাড়িতে নিজের অগ্রাধিকার নেই। আর পাশের বাড়িতেও আমার অগ্রাধিকার নেই। কিন্তু আমার বাড়িতে সকলের অধিকার আছে। এটা কেমন হল!’
আরও পড়ুন: WB Govt Jobs: সরকারি চাকরিতে ৭,২১৬ শূন্যপদে নিয়োগ, অনুমোদন পড়ে গেল রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে