রাজ্যে একাধিক ঘটনায় পুলিশের আচরণ সাম্প্রতিককালে সমালোচনার মুখে পড়েছে। আদালতেও প্রায় রোজ ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে পুলিশ। মঙ্গলবার তেমনই একটি ঘটনা দেখা গেল হাওড়ায়। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা চাদরে মোড়া ব্যক্তি সত্যিই মৃত কি না পা দিয়ে পরীক্ষা করতে দেখা গেল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যাতে প্রশ্ন উঠছে, কবে ‘মানুষ’ হবে পুলিশ?
খাতায় কলমে সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশ বাহিনীর সদস্য নয়। তবে সহকারী তো বলাই যায়। এহেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেল পা দিয়ে মৃতদেহে সংজ্ঞা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে।
মঙ্গলবার দুপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাকুড়িয়া ব্রিজে রাস্তার পাশে বিছানার চাদরে মোড়া একটি দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ডোমজুড় থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ব্যক্তি সত্যিই মারা গিয়েছেন কি না তা জানতে পা দিয়ে দেহে ঠেলা দেন তিনি। এর পর থানা থেকে গাড়ি আসে। উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। তবে দেহটি কার তা এখনো সনাক্ত হয়নি।
এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার শবের প্রতি চরম অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। দেহে পা ঠেকিয়ে জীবিত, মৃত সনাক্ত করার পদ্ধতি সিভিক ভলান্টিয়ার কোথা থেকে শিখলেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।