রাত পোহালেই রঙের উৎসব দোল। এবার বাজারে নতুন আকর্ষণ গানওয়ালা পিচকারি। যে পিচাকারি থেকে শুধু রং বেরিয়ে আসে না, বেরিয়ে আসে ফিল্মি গানও। এই পিচকারিতে একটি সুইচ আছে। যা টিপলেই ‘রং বরসে ভিগে চুনারবালি, রং বরসে... হোলি হ্যায়’ গান ভেসে আসে। আর এটা দেখে ক্ষুদে ক্রেতারা কার্যত অবাক। এখন বাড়ির খুদে সদস্যরা গানওয়ালা পিচকারি কিনতে বায়না জুড়েছে।
কিন্তু তা কিনে দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এই গানওয়ালা পিচকারির দাম খুব বেশি। তাই গানওয়ালা পিচকারি না পেয়ে মন খারাপ অনেকের। একই সঙ্গে এবার নানা রঙের ভেষজ আবিরের দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ফলে দোলের আগে বাজার আগুন। রঙের উৎসবে মেতে উঠতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
এখন করোনাভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই রঙের উৎসবে মেতে উঠতে মরিয়া রাজ্যবাসী। কিন্তু বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগুন হওয়ায় চাপ বেড়েছে ক্রেতাদের। এই ছবি শুধু শহরের নয়, বর্ধমান–হাওড়া–হুগলি সহ সর্বত্র দামের কাছে নতিস্বীকার করছেন মানুষজন। রাজ্যে যেদিন দোল উৎসব পালিত হয়, বর্ধমান শহরে তার পরের দিন দোল হয়। এই বছরও ১৯ তারিখ পালিত হবে দোল। কিন্তু আবিরের দোকানে রং, আবিরের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই, দামও বেশি বলে অভিযোগ।
কেন এমন দাম বাড়ল রং–আবিরের? কয়েকজন আবির বিক্রেতা বলেন, ‘পেট্রলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কলকাতা থেকে দোলের সরঞ্জাম আনতে খরচ বেড়ে গিয়েছে। আগে যেখানে আবির আনতে গাড়ি প্রতি ৫ হাজার টাকা খরচ হতো, সেখানে এখন গাড়ি প্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’ তাহলে তো কলকাতায় রং–আবিরের দাম কম হবে? কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কলকাতা শহরেও দাম বেড়েছে সবকিছুর। যা কিনতে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।