বীরভূম জেলা কি এখন খাপ পঞ্চায়েত চালাচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন জেলাজুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ স্বামী–স্ত্রীকে এখানে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। আর এই খুনের অভিযোগ উঠল গ্রামের মোড়ল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই স্বামী–স্ত্রীকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবাসরীয় সকালে এটাই এখন চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের আমোদপুরের ভ্রমরকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ন’পাড়া গ্রামে। মৃত স্বামী–স্ত্রীর নাম পাণ্ডু হেমব্রম এবং পার্বতী হেমব্রম। এখানে শনিবার গ্রামের মোড়ল তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা পাণ্ডু এবং পার্বতীর বাড়ির কাছে আসে। তার পর তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের দু’জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল? পাণ্ডু–পার্বতীর আত্মীয়দের অভিযোগ, ন’পাড়া গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরা এবং আদিবাসী গ্রামে থাকা তার সাঙ্গপাঙ্গরা মনে করেছিল এই স্বামী–স্ত্রী ডাইনিবিদ্যা জানেন। আর তাঁরা এই বিদ্যা রীতিমতো অভ্যাস করেন। তাই ডাইনি অপবাদ দিয়ে দম্পতির হামলা করে সকলে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। তার জেরেই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মৃত দম্পতির দেহ গ্রামে নিয়ে এলে বিক্ষোভ দেখান মৃতদের পরিজন ও গ্রামবাসীরা। তাঁরা মৃতদেহ সৎকারে বাধা দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মোড়লকে তারা থানায় নিয়ে আসলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা মোড়লকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা, মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে পাণ্ডু হেমব্রম এবং পার্বতী হেমব্রমের। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup