এবারের ভোটে হেরে গিয়েছেন সায়নী ঘোষ। তবে তারপরেও যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রীর পদে তাঁকে বসিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। তবে দলের একাংশের মতে, ভোটের ময়দানে সায়নী ঘোষের যে আত্মবিশ্বাসের ছবি নজর কেড়েছিল অনেকের, সেই আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই আগামী দিনে এগোতে চাইছেন তিনি। তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে খবর এমনটাই। এদিকে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর তুলনার প্রসঙ্গও উঠতে শুরু করেছে। তবে সোমবার সায়নী ঘোষ সম্পর্কে অভিষেক বলেন, ‘সর্বক্ষণের জন্য দল করতে চাইছেন সায়নী ঘোষ।’
দল সূত্রে খবর, দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতির চেয়ারে বসার পর এদিনই প্রথম তৃণমূল ভবনে যান সায়নী। দলের এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ তাঁকে দেওয়ায় তিনি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ নেত্রীর প্রতি। তিনি বলেন, ‘ওনাকে আশাহত করব না।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলায় জেলায় তৃণমূলের যুব সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করা এককথায় বড় চ্যালেঞ্জ সায়নীর কাছে। সেই গুরু দায়িত্বই নেত্রী দিয়েছেন সায়নী ঘোষের উপর। তবে শুধু যুব সংগঠনই নয়, যুবর সঙ্গে মাদারের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সংগঠনকে ঠিকঠাক রাখাটাও তাঁর কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। সায়নী ঘোষ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি।য়ুব সংগঠনের অনেকেই দেখা করতে চেয়েছেন। কোভিডের কারণে সকলের সঙ্গে একসঙ্গে দেখা করতে পারব না। ধীরে ধীরে সকলের সঙ্গে কথা বলব। সবার আগে দু একদিনের মধ্যে যুব শাখার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসব।’