Malbazar flash flood: ‘এক শিশুর হাত ধরেও ফেলেছিলাম, বাঁচাতে পারলাম না’, হড়পা বানে এখনও আতঙ্কিত আহতরা

হড়পা বানে হাত পা ভেঙে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক মহিলা। তার কথায়, ‘আমাদের পরিবার থেকে আমি একাই বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলাম। সেই সময় ঘাটে বিসর্জন দেখার জন্য বহু মানুষের ভিড় ছিল। আচমকা দেখি ব্যাপক জলের স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। আমিও জলের স্রোতে ছিটকে পড়েছিলাম।’

মালবাজারের সেই হড়পা বান।

প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষাদের মধ্যেই মালবাজারে হড়পা বান কেড়ে নিয়েছে ৮টি প্রাণ। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিপদে ছুঁয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই এখনও ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। বিপর্যয়ের পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও সেই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। এখনও তারা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।

মালবাজারে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা লুকাচ্ছে মমতা সরকার: মনোজ টিগ্গা

হড়পা বানে হাত পা ভেঙে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক মহিলা। তার কথায়, ‘আমাদের পরিবার থেকে আমি একাই বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলাম। সেই সময় ঘাটে বিসর্জন দেখার জন্য বহু মানুষের ভিড় ছিল। আচমকা দেখি ব্যাপক জলের স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। আমিও জলের স্রোতে ছিটকে পড়েছিলাম। পরে ক্রেন এসে আমাকে উদ্ধার করে। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার হাত পা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।’

মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেখানকার আরও এক বাসিন্দা হুসেন। তিনি বলেন, ‘যখনই সবাই ভেসে যাচ্ছিল তখন আমি একটি শিশুর হাত কোনওভাবে ধরতে পেরেছিলাম। কিন্তু, জলের স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে তাকে আর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। সে কোথায় ভেসে গেল কী জানি!’ মালবাজার হড়পা বানের ঘটনায় পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। রাতের দিকে উদ্ধারকার্য বন্ধ রাখা হলেও সকালে ফের উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।