নাবালিকা পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল কাকদ্বীপ আদালত। ৫ বছর মামলা চলার পর বুধবার এই মামলার রায় শোনান কাকদ্বীপ পকসো আদালতের সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায়। রায়ে খুশি নির্যাতিতা।
সরকারি আইনজীবী অমিতাভ রায় জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল নামখানায় ছেলের অনুপস্থিতিতে ১৭ বছরের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর সাগর দাস। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা। ৫ বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর বুধবার শ্বশুরকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে কাকদ্বীপ পকসো আদালত। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। এছাড়া নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিনি বলেন, এই ঘটনা ঘৃণ্যতম। ১৭ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে ধর্ষণ নজিরবিহীন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন বিচারক। এই ধরণের মানুষদের জেলের ভিতরেই থাকা উচিত। নাবালিকা ও তার পরিবার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করার ব্যাপারে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি ধর্ষকের পরিবার।