ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে হলদিয়া - নন্দীগ্রাম ফেরি অবরোধ করলেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অনুমতি না নিয়েই বাড়ানো হয়েছে ফেরির ভাড়া। যদিও ঘাটের ইজারাদারের দাবি, হলদিয়া পুরসভার অনুমতি নিয়েই বাড়ানো হয়েছে।
দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর সকালে ফেরি পার করে হলদিয়া যেতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা দেখেন, ২ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে ফেরিঘাট। প্রতিবাদ করলে নতুন রেট চার্ট দেখান ফেরিঘাটের টিকিটঘরের কর্মীরা। দেখান হলদিয়া পুরসভার অনুমতিপত্র। এমনকী ভাড়া বাড়ানো হয়েছে সাইকেল ও মোটরসাইকেল পারাপারেও। এর পরই কেন্দামারি ঘাটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দা। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেরি।
নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, মাস কয়েক আগে ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রস্তাব এসেছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিস, নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ফেরির ভাড়া ঠিক করবে হলদিয়া পুরসভা। কারণ ফেরি হলদিয়া পুরসভা চালালেও এই পরিষেবা নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের প্রয়োজন বেশি। চাপের মুখে এলাকাবাসীর বিক্ষোভে সামিল হন নন্দীগ্রামের কয়েকজন তৃণমূল নেতাও।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আমাদের সঙ্গে কথা না বলে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এই ফেরি আমাদের রোজ ব্যবহার করতে হয়। রোজ ৪ টাকা ভাড়া বাড়লে মাসে আমাদের ১২০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। ফেরি পার করে মানুষ ছোটখাটো কাজ করতে হলদিয়া যায়। তাদের কাছে ১২০ টাকা কি কম?
তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘পুজোর মধ্যে চুপিসাড়ে ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। নইলে ষষ্ঠীর দিন ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা কেন?’ অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওদিকে ইজারাদারের দাবি, হলদিয়া পুরসভার সঙ্গে কথা বলেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।