ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই আবারও ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি জানালেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সুপ্রিমো জীবন সিংহ। শনিবার একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়ে কামতাপুরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জীবন সিংহের দাবি, কামতাপুরবাসীর উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই জীবন সিংহ পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানালেও ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তাঁর এই ভিডিয়ো বার্তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে কেএলও প্রধানের হুমকি ভিডিয়ো
জীবন সিংহ দাবি করেছেন, ১৯৪৯ সালে স্বাধীন কোচবিহার রাজ্যের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়েছিল। যার নাম ছিল ‘মার্জার এগ্রিমেন্ট’। সেই যুক্তি অনুযায়ী, ‘কোচ’ ভূখণ্ডকে আলাদা রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার কথা। কিন্তু, সেই চুক্তি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন জীবন সিংহ। তাঁর অভিযোগ, গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুরকে পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার এখানকার মানুষ সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থায় কামতাপুরী ভাষাভাষীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জীবন সিংহ।
এদিনের ভিডিয়ো বার্তায় জীবন সিংহ বলেন, ‘যেকোনওভাবেই গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে। এটা আমাদের সংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ভারত আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে।’ তাঁর অভিযোগ, স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও মার্জার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন করা হয়নি। যার ফলে আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এখানকার মানুষদের উন্নতি সাধন সম্ভব হয়নি। উলটে কামতাপুর এবং গ্রেটার কোচবিহারকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারত সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে গ্রেটার কোচবিহার বা পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি জানিয়ে আসছেন জীবন সিংহ। মাঝেমধ্যেই তিনি এই দাবিতে ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে থাকেন। তবে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের পর ফল ঘোষণার পরেই তাঁর এই ধরনের ভিডিয়ো বার্তা প্রসঙ্গে সিপিএমের দাবি, ফল ঘোষণার সঙ্গে জীবন সিংহের ভিডিয়ো বার্তার কোনও না কোনও সম্পর্ক রয়েছে। তা সময় বলবে। তবে যারা বিভাজনের রাজনীতি করে ।তাদের সম্পর্কে মানুষের সচেতন থাকা উচিত। আবার এনিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনের সময় রাজ্য ভাগের কথা বলতে পারতো। আসলে ওরা ললিপপ দেখাচ্ছে।’