অবশেষে প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফলাফল। এ বছরের পরীক্ষার্থী তালিকায় ছিল টেলি অভিনেত্রী সুস্মিলি আচার্যর নাম। ব্যস্ত শিডিউলের ফাঁকে পড়াশোনা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। এখনও ১৬-র গণ্ডি পার করেননি সুস্মিলি, অথচ ৬ বছর দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ার তাঁর। আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের টেনশন! ‘রামপ্রসাদ’-এর মেকআপ রুমেই চলছে 'সর্বাণী' সুস্মিলির পড়াশোনা
‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ সিরিয়ালের সত্য়বতী-র চরিত্রে নজর কেড়েছিল এই কন্যে। এরপর এই খুদে অভিনেত্রী গোটা বাংলার মন জয় করে নেয় ‘সৌদামিনীর সংসার’-এর সৌদামিনী হিসাবে। সম্প্রতি স্টার জলসার ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে রামপ্রসাদের স্ত্রী সর্বাণীর ভূমিকায় দর্শক দেখেছে তাঁকে। সদ্য শেষ হয়েছে এই মেগা। রামপ্রসাদ-এর শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েছেন সুস্মিলি। ১২-১৪ ঘন্টা শ্যুটিং সামলে পড়াশোনা। সহজ ছিল না সুস্মিলির পক্ষে।
মাধ্যমিকে কত নম্বর পেয়েছেন গরফার আদর্শ বালিকা শিক্ষায়তনের ছাত্রী সুস্মিলি? অভিনেত্রীর মা জানালেন, সুস্মিলি মাধ্যমিকে ৬০% নম্বর পেয়েছেন। প্রথম ডিভিশনে মাধ্য়মিকে উত্তীর্ণ হলেও রেজাল্টে খুশি নন রামপ্রসাদের নায়িকা। আরেকটু বেশি নম্বর আশা করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুস্মিলির মায়ের কথায়, ‘ও প্রতিদিন ১২-১৪ ঘন্টা শ্যুটিং করে পড়াশোনা চালিয়েছে, এটাও কম বড় পাওয়া নয়’।
ভবিষ্যতে বিজ্ঞানবিভাগে ভর্তি হবেন সুস্মিলি। ইংরাজিতে স্নাতক ডিগ্রি পেতে চান বাংলা টেলিভিশনের সৌদামিনী। এতদিন মেকআপ রুমে শটের ফাঁকে পড়াশোনা চালিয়েছেন, ভবিষ্যতেও সেইভাবেই এগিয়ে যাবেন। মন খারাপ হলেও আত্মবিশ্বাসী সুস্মিলি।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যুটিং সামলে পড়াশোনার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার তো মাধ্যমিক নিয়ে ভীষণ টেনশন হচ্ছে এখন থেকেই। তবে আমি ছোট থেকেই অভ্যস্ত। শ্যুটিংয়ের সময় শ্যুটিং করি, ফাঁক পেলেই পড়াশোনা। মেক আপ রুমে তো আমার সঙ্গেই বই থাকে। শটের ফাঁকে স্ক্রিপ্টের পাশাপাশি পড়ার বইও পড়ি। বাড়ি ফিরে পড়তে বসতে হয়। এইভাবেই চলছে।’
আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের প্রথম ১০-এ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৬, মেধাতালিকায় কলকাতার মাত্র ১
এবার মাধ্যমিক দিয়েছিল মোট ৯,১২,৫৯৮ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪,০৩,৯০০। আর ছাত্রীর সংখ্যা ৫,০৮,৬৯৮ ছিল। এবার মাধ্যমিকে পাশের হার হল ৮৬.৩১ শতাংশ। গতবার সেটা ৮৬.১৫ শতাংশে ঠেকেছিল। অর্থাৎ পাশের হার বেড়েছে ০.১৬ শতাংশ। জেলাভিত্তিক পাশের হারে শীর্ষে আছে কালিম্পং (৯৬.২৬ শতাংশ)। তারপর আছে যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৫.৪৯ শতাংশ), কলকাতা (৯১.৬২ শতাংশ), পশ্চিম মেদিনীপুরের (৯১.৪১ শতাংশ) মতো জেলা।
এবার মেধাতালিকায় ৫৭ জন পড়ুয়ার নাম আছে। কলকাতা থেকে প্রথম দশের মধ্যে আছে মাত্র একজন। কমলা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সোমদত্তা সামন্ত মেধা তালিকায় দশমস্থানে রয়েছেন, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।