রাজনৈতিক সভা–সমাবেশে ভিড় হলে তা দেখে খুশি হন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু এবার দেখা গেল উলটপুরাণ। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল খুশি হওয়া তো দূরের কথা, রেগে গেলেন স্বয়ং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। রবিবার ঠাসা ভিড় দেখে উনি খুশি হবেন এটাই ধরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে রেগেই গেলেন সিপিআইএম নেতা বিমান বসু। আর রেগে গিয়ে বললেন, ‘এটা অপরাধ।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটা অপরাধ কেন? জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভিড় হলে সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া এই ভিড় বিধি ভাঙার সামিল। তাই তিনি রেগে গিয়ে এটাকে অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন। রবিবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীর স্মরণসভা ছিল শ্রীরামপুরে। তাই রবীন্দ্র ভবনে সিপিআইএম হুগলি জেলা সংগঠন আয়োজিত ওই সভায় ঠাসা ভিড় দেখা দেয়। যা করোনা আবহে বিধিভঙ্গের সামিল। কোনও আসনই ফাঁকা ছিল না। অনেকের মুখেই মাস্কও ছিল না। এই পরিস্থিতি দেখে বক্তব্যের শুরুতেই বিমান বসু বলেন, ‘এই হলের মধ্যে যেভাবে সভা হচ্ছে, সেটা হওয়া উচিত নয়। কারণ বেশিরভাগ কমরেডের মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক ব্যবহার না করে এভাবে বসাটা অপরাধ।’
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের চোখে এটা অপরাধ কেন? এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন তিনি। বিমান বসু বলেন, ‘এটা অপরাধ কারণ করোনা অতিমারির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকি, সুস্থ থাকি বা যাই থাকি, তাকে বাড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়াটা অপরাধই। এখানে প্রথমসারিতে এমন অনেকে বসে আছেন, যাঁদের মুখে মাস্ক নেই। এটা কখনও কাম্য নয়।’
নিজের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে যখন বিমান বসু ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তখন সভাকক্ষে অনেকের মুখ লজ্জায় হেঁট হতে দেখা গেল। এমনকী থুতনিতে নেমে যাওয়া মাস্ক ঠিক জায়গায় তুলতে শুরু করেন অনেকে। তবে তাতেও বর্ষীয়ান বাম নেতার মেজাজ যে ঠিক হয়নি, তা তাঁর বক্তব্যের সময়ই বুঝতে পারেন আয়োজকরা। দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা সুদর্শনের স্মৃতিচারণায় সামান্য বক্তব্য রেখে বেরিয়ে যান বিমান বসু।