হাওড়া জেলার ৩০টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হল। করোনা আতঙ্ক এখনও দূর হয়নি। এই আবহে পুজো আসছে। আর তাই দুর্গা পুজোর আগে করোনা সামলাতে কড়া পদক্ষেপ নিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। মাঝে কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম শিথিল করা হলেও পুজোর আগে করোনা ঠেকাতে ফের এই নিয়ম জারি করা হল এই ৩০টি এলাকায়।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত জুন মাসে হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কনটেনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেনন্টমেন্ট জোনের ঘোষণা করা হয়। এই মুহূর্তে হাওড়া জেলায় কনটেনমেন্ট জোন না থাকলেও ছোট ছোট এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এনে সংক্রমণ আটকানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক জানান, নতুন করে কোনও নিয়ম চালু করা হচ্ছে না। কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে আগের যেসব বিধি-নিষেধ ছিল সেগুলিই লাগু থাকবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে।
হাওড়া সদরের কনটেনমেন্ট জোনগুলি হল- নস্করপাড়া রোড, রামকৃষ্ণ মন্দির পথ, রোজমেরি লেন, শৈলকুমার মুখার্জি রোড, গোপাল ব্যানার্জি লেন, রামেশ্বর মালিয়া লেন, আন্দুল রোড, নবনারীতলা ফার্স্ট লেন, যদু মুখার্জি লেন, নর্থ বাঁকসাড়া, ডঃ পিএন ঘোষ রোড, গোস্বামীপাড়া রোড, আশুতোষ মুখার্জি লেন, সারেঙ্গা সাঁকরাইল, জোরহাট সাঁকরাইল, দুলিয়া সাঁকরাইল এবং বালুহাটি হাটতলা।
পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার কনটেনমেন্ট জোনগুলি হল- আমতা-২ ব্লকের বিকে বাটি, ঝিকিরা, থালিয়া, ঝামটিয়া, ঘোড়াবেড়িয়া চিটনান এবং জয়পুর এই তালিকাভুক্ত। শ্যামপুর-১ ব্লকের রাধাপুর, ডিঙ্কাখোলা, শ্যামপুর এবং কামালপুরকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্যামপুর-২ ব্লকের দেহি মণ্ডলঘাট-২ এবং বাগনান-২ ব্লকের আনটিলা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়েছে।