সিগনালিং পয়েন্টে বিভ্রাটের জেরে ব্যাহত হয়ে পড়েছে রেল পরিষেবা। আজ, শুক্রবার বারাসাত স্টেশনে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। যার জেরে শিয়ালদা–বনগাঁ এবং শিয়ালদা–হাসনাবাদ শাখায় থমকে গিয়েছে ট্রেন চলাচল। তার জেরে সপ্তাহের কাজের দিনে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে নিত্যযাত্রীদের। এই বিভ্রাটের জেরে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। অনেকগুলি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। আর তার জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে সড়কপথ ধরেছেন।
এদিকে এই ট্রেন থমকে যাওয়ায় এক যাত্রী মারাত্মক রেগে গিয়ে এক ট্রেনের চালককে মারধর করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে বারাসতে পয়েন্ট সিগন্যালে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। বনগাঁ থেকে শিয়ালদাগামী দিনের দ্বিতীয় ট্রেনটি আটকে যায় বামনগাছি স্টেশনে। গোটা পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। সাময়িকভাবে স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। দেড় ঘণ্টা পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও তা স্বাভাবিক হয়নি। বহু সময় পর পর ট্রেন আসায় ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে চড়তে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় যাত্রীদের।
অন্যদিকে বনগাঁ, চাঁদপাড়া, ঠাকুরনগর, গোবরডাঙা, হাবড়া, অশোকনগর–সহ অন্যান্য স্টেশনে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদা–বনগাঁ এবং শিয়ালদা–হাসনাবাদ শাখার বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সপ্তাহের কাজের দিন রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় অনেকে স্টেশনে ক্ষোভ উগড়ে দেন। কাজের দিনে অনেকেই অফিসে দেরিতে পৌঁছচ্ছেন। আবার অনেকে আদৌ অফিস পৌঁছতে পারবেন কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। এই আবহে বামনগাছি স্টেশনে অনেকক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় চালকের উপর চড়াও হয় এক যাত্রী। ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় ওই চালককে প্রথমে গালিগালাজ করে এক যুবক। তারপর তাঁকে মারধর করতে যান। যদিও ওই চালককে রক্ষা করেন অন্যরাই। তাঁরা আবার ওই যুবককে পালটা মারধর করেন বলে অভিযোগ। রেল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চিটফান্ড তদন্তের পৃথক শাখা তুলে নিল সিবিআই, কেন এমন নির্দেশিকা জারি হল?
আর কী জানা যাচ্ছে? রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দমদম–বারাসত–বনগাঁ শাখায় ছ’টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর ১৪টি লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বারাসতে একটি সিগন্যালিং পয়েন্ট খারাপ হয়ে যায়। তাই বনগাঁ এবং হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সিগন্যালে কাজ করা যায়নি। ৯টা নাগাদ পয়েন্ট ঠিক হয়েছে। বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও হাসনাবাদ শাখায় সকাল ১১টা পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’