প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে হাতে নাতে ধরা পড়ে গিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। নিহত নারায়ণ দাসের বাড়ি মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের শংকরকলা গ্রামে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী পবিত্রা দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক পবিত্রাদেবীর প্রেমিক।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শংকরবাবু পেশায় ভিনরাজ্যের শ্রমিক। স্বামী অন্যত্র থাকার সুযোগে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান পবিত্রাদেবী। সেই খবর পেয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে আসেন নারায়ণবাবু। স্ত্রীকে বোঝান তিনি। তবে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি হননি স্ত্রী। উলটে স্বামী কোথাও গেলেই নারায়ণকে বাড়িতে ডেকে নিতেন তিনি। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে তুমুল কলহ চলছিল।
বুধবার বোনকে নিয়ে মালদায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন নারায়ণবাবু। ফিরতে ফিরতে রাত ৮টা বেজে যায়। ফিরে তিনি দেখেন ঘরের ভিতর প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন পবিত্রাদেবী। প্রতিবাদ করলে দুজনে মিলে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পর বাড়ি ছাড়ে প্রেমিক।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকালে উঠে তাঁরা দেখেন বারান্দা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে নারায়ণবাবুর দেহ। দু’চোখে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। পরিবারের দাবি, রাতে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক মিলে নারায়ণবাবুকে দু’চোখে সূঁচ বিঁধে খুন করেছে। তার পর বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা।
এই মর্মে চাঁচাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।