সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভরাডুবির আবহে মালদায় ফের শাসকদলে ভাঙন। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন একাধিক নেতা - কর্মী ও জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দলবদলে অস্বস্তিতে তৃণমূল। তবে মুখ ফুটে কষ্টের কথা বলতে পারছে না তারা।
এদিন মালদার রতুয়ায় তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাহা, রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য টিপু সুলতান, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ জন সদস্য ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরেন। তাদের সঙ্গে কংগ্রেসে ফেরেন প্রায় ২৫০ রাজনৈতিক কর্মী।
দলবদলের পর প্রদীপবাবু বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নের কথা ভেবে তৃণমূলে যোগদান করেছিলাম। কিন্তু এদের দুর্নীতির সঙ্গে কোনও দিন মানিয়ে নিতে পারিনি। আর এখন তো সব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে নিজের পুরনো দলে ফিরলাম।’ দলত্যাগী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য টিপু সুলতান বলেন, ‘তৃণমূল মুসলিমদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। রাজ্যে কাজকর্ম নেই। যুবকদের বাড়ি - ঘর, মা - বাপ ছেড়ে ভিনরাজ্যে ক্রীতদাসের জীবন যাপন করতে হচ্ছে। একমাত্র কংগ্রেসই পারে এদেশে মুসলিমদের জন্য ভালো কিছু করতে।’
দলত্যাগী এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘তৃণমূল আর বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। এদের জন্যই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হচ্ছে। এসব আমাদের এখানে ছিল না। রাজনীতির প্রতিযোগিতায় দুই দল মানুষকে লড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এর থেকে দূরে থাকতে চাই।’
রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় আবার দলের জেলা চেয়ারম্যান। দলবদল নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি বলেন, ওরা ২০২১ সালের ভোটের পর থেকেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।