দলের ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বীরভূমের মল্লারপুরে চলছে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ। বনধকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির ডাকা বনধে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল মল্লারপুর বাজার। রাস্তায় দেখা মেলেনি গাড়িঘোড়ার। এরই মধ্যে বনধের সমর্থনে মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল করে বিজেপি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল।
বিজেপির অভিযোগ, ভুয়ো মামলায় বিজেপির ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সুশান্ত দে-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালত থেকে তাঁর জামিন হলে ফের পুরনো একটি মামলায় তাঁর গ্রেফতারি দেখিয়ে আবার ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিজেপির দাবি, বিরোধী দলের নেতাকে হেনস্থা করতেই এই কাজ করছে প্রশাসন।
এদিন সুশান্ত দে-র মুক্তির দাবিতে মল্লারপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে বিজেপি। দুপুরে বনধের সমর্থনে মিছিল করে তারা। এর পর বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ জোট বেঁধে বীরভূমে বিরোধীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। শাসকদলের প্রতি আনুগত্যে কুকুরকেও হার মানাবে পুলিশ।’
পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য মানস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন তৃণমূলের পুলিশ। তৃণমূলের দালাল। দালালি করা বন্ধ করে দিন। ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। আজ আমরা আপনাদের ট্রেলার দেখালাম। ২৫ তারিখ বেরিয়ে ছালকে ছিলে দেবো আপনাদের। দেখবো বীরভূম জেলার কত পুলিশ আছে’
এদিন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও ছাড়েননি শ্যামাপদবাবু। তিনি বলেন, ‘বিজেপির তরফে ময়ূরেশ্বর থানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনো মামলা শুরু করার হিম্মত হয়নি পুলিশের। বিজেপি ক্ষমতায় এসে ওই ওসিকে দিয়েই অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা করাবে। তার পর তদন্তের নামে থানায় ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখতে হবে তাঁকে।’