হিট স্ট্রোকে রবিবার একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। তাপপ্রবাহ চলছেই পদ্মাপারে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ হিট স্ট্রোকে বাংলাদেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কৃষক–সহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এই মরশুমে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড বলে জানিয়েছে ওপার বাংলার আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার আরও ৭ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং এখনও পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১। এই আবহে আবার ভূমিকম্প হয়েছে এখানে। তাতে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে খবর, দেশের ইতিহাসে এই বছরের আগে একদিনে হিট স্ট্রোকে এতজন মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই। এমন ঘটনা ঘটেওনি। তাই এবার পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহের এই সতর্কবার্তা। রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনূভূত হয়। রিকটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.২ শতাংশ। রবিবার ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। তাপপ্রবাহের জেরে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা এবং রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘১০ হাজার মতুয়া সিএএ’তে আবেদন করেছেন’, দাবি শান্তনুর ‘মিথ্যে বলছেন’ পাল্টা বিশ্বজিৎ
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে আরও খবর, রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবারের চেয়ে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না। আজও তাপমাত্রা একইরকম আছে। এই প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং এই তিন জেলায় আবহাওয়া সহনীয়। তবে রাজশাহীতে ৪২, খুলনায় ৪০, চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৮, সৈয়দপুরে ৪০.২, মোংলায় ৪১, টাঙ্গাইলে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস–সহ ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে যাচ্ছে। সুতরাং এই আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে রাস্তাঘাটে কেউ বের হচ্ছে না।
অন্যদিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আখতার মুক্তা হিট স্ট্রোকে মারা গেলেন। একই উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে চা বিক্রেতা ফিরদৌস আলম ঠান্ডু(৫০) মারা গিয়েছেন। আর গাইবান্ধায় গত কয়েকদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২টি গরু ও শতাধিক মুরগির মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একটি ঘূর্ণিঝড় দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে।