সেনাবাহিনীতে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল ‘জওয়ানের’ বিরুদ্ধে। বেকার যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। অভিযোগ উঠেছে, কর্মহীন যুবকদের টার্গেট করতেন ওই ব্যক্তি। তারপর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত। বিশ্বাস অর্জন করতে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেত পুণেতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চাকরি না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতারিত যুবকদের। সাঁকরাইল থানায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজেশ প্রসাদ (৩৩)। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেনার উর্দি পরে সাঁকরাইলের রায়গঞ্জে অবাধে যাতাযাত করত ওই ব্যক্তি।আরও অভিযোগ, যে বাইকে করে ওই ব্যক্তি ঘোরাফেরা করত তাতে আর্মি স্টিকার লাগানো থাকত। এমনকী, সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্রও ছিল তার কাছে। সেক্ষেত্রে খুব সহজেই চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর উপর বিশ্বাস করে নিতেন।
অভিযুক্তের দাবি, সেনায় হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে অনেকদিন ধরে চাকরিতে যোগ দেননি। প্রতারণার জাল কতদূর ছড়িয়েছে ওই অভিযুক্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন রাজেশ।
অভিযোগ, সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রথমেই সাঁকরাইলের সাত যুবককে ফাঁদে ফেলে রাজেশ। তারপর থেকে বেশ কয়েকজন যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। প্রতারিত এক যুবকের অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিল রাজেশ। এছাড়াও ওই অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনের কাছ থেকেও একই কায়দায় ওই পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিশ্বাস অর্জনের জন্য চাকরিপ্রার্থী যুবকদের পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য তাঁদের পুণেতে নিয়ে যায় রাজেশ। ঘটনার পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কেউ চাকরি না পাওয়ায়, সন্দেহ হয় প্রতারিতদের। সম্প্রতি তাঁরা সাঁকরাইল থানায় রাজেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারিতদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।