বিজেপির অনেককেই ফোন করছেন তৃণমূলের নেতারা। সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য শোনা গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তের গলায়। বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি উত্তরবঙ্গ থেকেও কিছু বিধায়ক তৃণমূলে পা বাড়াচ্ছেন?|
এদিন শিলিগুড়িতে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, ‘উত্তরবঙ্গে ২৯ জন বিধায়কই বিজেপিতে থাকবেন। তাঁরা কেউ তৃণমূলে যোগ দেবেন না। একটা নীতি ও আদর্শ নিয়ে সকলে বিজেপিতে আছে। দল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।’ একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের অনেকেই বিজেপির অনেক নেতাকে ফোন করছেন। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে ভাঙা যাবে না। দার্জিলিংয়ের সাংসদের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, উত্তরবঙ্গে বিজেপি কিছুটা হলেও চিন্তার মধ্যে রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা, যেভাবে দক্ষিণবঙ্গে সম্প্রতি ২ জন বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তার প্রতিফলন হয়ত উত্তরবঙ্গেও হতে পারে। জানা গিয়েছে, গতকাল দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার ডাকে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের ২৯ জনের মধ্যে ২৪ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন। যদিও এই বৈঠক সম্পর্কে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই জানতেন না বলে জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ করা হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
এই ঘটনার পরই উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত। উত্তরবঙ্গে সংগঠন যাতে মজবুত থাকে, সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে সরকার বিরোধী আন্দোলন যাতে জারি থাকে, সেই লক্ষ্যেই এদিনের এই বৈঠক ডেকেছিলেন রাজু বিস্ত। তৃণমূল শিবিরের খবর, উত্তরবঙ্গ থেকেও বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যে পাঁচদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করার কথা তাঁর।
তাঁর।