নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের বইমেলায় গরহাজির থাকলেন আমন্ত্রিত মন্ত্রীরা। আর তাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। অভিমানে তিনি বলেই ফেললেন, ‘এটা ছোট দফতর বলে অনেকেই আসেননি। কাজটা বেমানান হল’। একইসঙ্গে রাজ্যে নিয়োগে দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেও সরব হলেন মন্ত্রী।
সাধারণত প্রতি বছর এই দফতরের উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন করা হয়। দু'বছর করোনার কারণে এই দফতরের বইমেলা জমে ওঠেনি। তবে এবার করোনার বাড়বাড়ন্ত না থাকায় বেশ ভালো করেই বইমেলার আয়োজন করেছে সিদ্দিকুল্লাহর দফতর। আজ ছিল সেই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের জন্য দফতরের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল মন্ত্রী সুজিত বসু থেকে শুরু করে হুমায়ুন কবীর, অরূপ বিশ্বাসকে। প্রধান অতিথির তালিকায় ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি অবশ্য আসতে পারবেন না জানিয়ে দিলেও অন্যান্য মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারা নিয়ে কিছুই জানাননি বলে দাবি সিদ্দিকুল্লাহর। তাতেই বেজায় চটে গিয়েছেন তিনি। শেষে ওই সমস্ত মন্ত্রীদের অনুপস্থিতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
মন্ত্রীদের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, ‘কার্ডে যে মন্ত্রীদের নাম রয়েছে আমি তাদেরকে ডেকেছি। ওনারা যে আসবেন না তা জানানো উচিত ছিল। আমি নিজে ওনাদের আমন্ত্রণ করার পাশাপাশি ওনাদের সচিবকেও সেকথা জানিয়েছি। এটা ছোট দফতর বলেই হয়তো আসেননি। তবে কাজটা বেমানান হয়েছে।' এর পর নিয়োগে দুর্নীতি নিয়েও সরব হতে দেখা যায় সিদ্দিকুল্লাহকে। তিনি বলেন, ‘আমার দফতরে নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে না। তবে আমি অন্য দফতর নিয়ে কথা বলব না।‘