গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গা পাড়ে লাগাতার ভাঙন দেখা দিয়েছে। যারফলে মালদার মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকায় জমির পর জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী গর্ভে। গত দুদিনে প্রায় ৬০০ মিটার জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন নদী পাড়ে থাকা মানুষ। প্রাণভয়ে অনেকেই ভিটে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাই ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজের জন্য সেচ দফতরের আধিকারিক, জেলা শাসককে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
গতকাল এলাকা পরিদর্শন করে তিনি ভাঙন দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নদী পাড় দ্রুত মেরামতির জন্য স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নদী পাড়ে অবস্থিত মানুষদের নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই গোপালপুর অঞ্চলের বালুকোটায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিম নারায়নপুরের ব্রজলালটোলা এলাকাও ভাঙনের কবলে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছরে ওই এলাকায় ভাঙন হয়। এজন্য স্থায়ী সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। এ বিষয়ে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভাঙন রোধের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জরুরী ভিত্তিতে দুটি জায়গায় কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে এখন স্থায়ীভাবে কাজ করা যাবে না। ভাঙন বন্ধ হলে তবেই তা সম্ভব হবে তবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা এ নিয়ে ভাববো।’
স্থানীয়দের বক্তব্য, বছরের পর বছর ভাঙনের জেরে বহু মানুষ চাষের জমি হারিয়েছেন। কেউ আবার বসতি বাড়ি হারিয়েছেন। এখন বাধ্য হয়ে তাদের অন্যের জমিতে থাকতে হচ্ছে। চাষ করার যা জমি ছিল তাও এখন নেই। তারা কী করবেন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছেন স্থানীয়রা। এর জন্য তারা কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন।