নববধূকে টিপ ও লিপস্টিক পরতে বাধা দেওয়া শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মারে হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর। ঘটনা মুর্শিদাবাদের দেওয়ানপুরের। আহত বরের নাম মিনারুল শেখ। তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মেয়ের বাবা জিয়ারুল বিশ্বাস ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে সাগরদিঘির বাসিন্দা মিনারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রঘুনাথগঞ্জের ওই তরুণীর। সোমবার ছিল আনুষ্ঠানিকতা। তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন অনেকে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল নববধূর। সেজন্য তাঁকে সাজানোর পর্ব চলছিল। তখনই বধূকে টিপ ও লিপস্টিক পরানো যাবে না বলে আপত্তি জানান পাত্রের দিদি। কিন্তু সেকথা কোনও ভাবেই মানতে রাজি ছিল না পাত্রীপক্ষ। তারা জানান, টিপ – লিপস্টিকে সাজিয়ে মেয়েকে সাজিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোই তাঁদের পরিবারের প্রথা।
এই নিয়ে বিবাদ বাড়তে থাকলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পাত্রের ওপর পাত্রীর পরিজনরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকী বরের দিদিকেও মারধর করেন মহিলারা। তাদের বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে পাত্র মিনারুলসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে তারা। বলা বাহুল্য ঘটনার জেরে নববধূর শ্বশুরবাড়ি যাত্রা মাথায় উঠেছে।
সম্প্রতি মেয়েদের টিপ পরা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসছে। টিপ পরা নিয়ে কিছু মানুষের বিভ্রান্তিকর প্রচারের জেরে এই ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন অনেকে।