পিনকী ভট্টাচার্য
নবমী ও দমমীতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। গত ১১ অক্টোবর এই পূর্বাভাস প্রথম জারি করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। পূর্বাভাস মিলিয়ে নবমীর বেলা গড়াতেই কলকাতাসহ রাজ্যের উপকূলবর্তী একাধিক জেলায় বৃষ্টি নেমেছে। তাতে খানিকটা পণ্ড হয়েছে পুজোর আনন্দ। কিন্তু এতেই রেহাই নেই। নবমীর রাতের ঠাকুর দেখার আনন্দ মাটি করার তোড়জোড় সেরে ফেলেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ। তাই আপাতত নবমীতেই দশমীর বিষাদ।
বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে পুরী থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে নিম্নচাপের কেন্দ্রটি। ঝড়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৮ কিলোমিটার। পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর – পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। এর পর পদ্মার মোহনা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঝড়টি। তবে সময় যত কাটবে তত শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড়। তবে ভূভাগে প্রবেশের ঠিক আগে কিছুটা শক্তি হারাতে পারে। সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার পরে ঝড়টির নাম হবে হামুন।
ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে যত এগোতে থাকবে ততই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা। নবমীর রাত যত বাড়বে ততই বাড়তে পারে দুর্যোগ। বিশেষ করে উপকূলবর্তী ৩ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় নবমীর রাতে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা হাওড়া হুগলিতেও। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়। উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। তবে ঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই।
পূর্বাভাস অনুসারে একাদশীর সকালের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে থাকবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি জারি থাকতে পারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলি ও কলকাতায়। আকাশ পরিষ্কার হতে হতে একাদশীর বিকেল।