আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেই উপলক্ষে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ওই লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রথম দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। জ্যোতিষীর পরামর্শ মেনে গীতা হাতে নিয়ে এদিন মনোনয়ন জমা দিতে গেল সৌমিত্র খাঁকে।
আরও পড়ুন: গাজন মেলায় বাবার মন্দিরে পুজো দিয়ে একে ওপরের পরাজয় প্রার্থনা সুজাতা-সৌমিত্রর
এদিন সৌমিত্রর পরনে ছিল ধুতি এবং হলুদ পাঞ্জাবি। এদিন প্রথমে শতাব্দী প্রাচীন এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র। এরপর মনোনয়ন পর্ব সারার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁর হাতে ছিল গীতা। বাঁকুড়া জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল করেন তিনি। সৌমিত্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বাঙালিয়ানাকে প্রাধান্য দিতেই তিনি আজ পাঞ্জাবি এবং ধুতিকে বেছে নিয়েছেন।
পরিবারের সঙ্গে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি তিনি বলেন, ‘জীবন বড় বৈচিত্র্যময়। সকলে মিলে একসঙ্গেই চলতে হয়। এটাই ধর্ম। ভারতীয় জনতা পার্টি আদর্শের সঙ্গে নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। এই অঙ্গীকার নিয়ে তার ভোট যুদ্ধের লড়াই।’ যদিও বিজেপি প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী তিনি পোশাক পরেছিলেন। এমনকী মনোনয়নের সময়সীমার ক্ষেত্রেও জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসরণ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘জ্যোতিষীর পরামর্শ মেনে তিনি বেলা ১২ টা ৪ মিনিটের মধ্যে মনোনয়ন জমা করেছি।’
আরও পড়ুন: 'আমিও আমার কৃষ্ণের সঙ্গে…'প্রচারে বেরিয়ে 'রাধা' হয়ে গেলেন সুজাতা, খোল বাজিয়ে নাচ
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই তিনি দাবি করেন, এবারও তিনি এই আসন থেকে জয়ী হবেন । এদিন তিনি বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবাংলায় অনেক সিট পাবে। বিষ্ণুপরে তৃণমূলের কোনও জায়গা নেই।’ পোশাক ও গীতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ধুতি পাঞ্জাবি পরে আমরা দুর্গাপুজো করি। সবাই যাতে ভোট দিতে পারে তার আহ্বান জানাচ্ছি।’ আর গীতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গীতা হল সত্যের প্রতীক। সত্যকে জয়ী করে। যে কোনও লড়াই সত্যের সঙ্গে থাকলে জয় নিশ্চিত। তাই গীতাকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুরের মানুষ হয়ে কাজ করব।’