সম্প্রতি বর্ধমানে এক ব্যক্তিকে পর পর দুটি করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তার রেশ এখনও কাটেনি। এবার আর এক নতুন ঘটনা ঘটল জেলায়। দেড় মাস আগে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন কাটোয়ার এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় ডোজের নেওয়ার সময় এখনও হয়নি। তবে তিনি পেয়ে গিয়েছেন টিকার দ্বিতীয় ডোজের শংসাপত্র! অবাক করার মতো ঘটনাই ঘটেছে। এমনকী এই শংসাপত্রে উল্লেখ রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম। যেখান থেকে তিনি দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এই নিয়ে এখন প্রবল চিন্তায় পড়েছেন কাটোয়ার বাসিন্দা সচ্চিদানন্দ ঘোষ।
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী তিনি এই ভুয়ো শংসাপত্রের জেরে বাস্তবে দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না। এই ঘটনা নিয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সমীর সাহা বলেন, ‘একটা অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি যাতে কোনওভাবে টিকা থেকে বঞ্চিত না হন তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? কর্মসূত্রে তিনি কাটোয়াতেই থাকেন। তাছাড়া তিনি এখানেরই বাসিন্দা। কখনও অন্য রাজ্যে যাননি। সচ্চিদানন্দবাবু নিজে বলেন, ‘আমি কাটোয়া পুরসভার অধীন ভাগীরথী ইউপিএইচসি সেন্টার থেকে ১১ সেপ্টেম্বর কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম। আমাকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এখন ৮৪ দিন পর আমার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা। তাই সেটা নিতে হবে ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু মোবাইলে শুভেচ্ছা জানিয়ে মেসেজ এসেছে, আমি কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। তা দেখেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।’
এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়। এমনও ঘটনা ঘটতে পারে তা কেউ ভাবতেও পারছেন না। সম্প্রতি ১০০ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, এসব জুমলা। মিথ্যে প্রচার না করে টিকা দেওয়ার কাজে মন দিন। তারপরেই এমন সব ঘটনা সামনে আসছে। যেখানে সচ্চিদানন্দবাবু শংসাপত্র হাতে নিয়ে দেখেন তার নাম, প্রথম ডোজ নেওয়ার তারিখ এবং আধার কার্ডের নম্বর হুবহু মিলে যাচ্ছে।