অন্যান্য দিনের মতোই রাস্তায় ছিল কর্মব্যস্ততা। তার মধ্যেই শোনা গেল বিকট শব্দ। কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মুহূর্তের মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে গেল এলাকা। কেউ কিছু তখন বুঝে উঠতে পারেননি। দেখা গেল, পাড়ার একটি বাড়ি থেকে যন্ত্রণার আর্তনাদ। উঁকি মেরে দেখতেই আঁতকে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির মালিকের একহাত উড়ে গিয়েছে দেখা সবাই স্তম্ভিত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে পানিহাটি এলাকায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বাড়ির মালিক দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর একটা হাত উড়ে গিয়েছে। ঝলসে গিয়েছে শরীরের একাংশ। পানিহাটি পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড তেজপাল এলাকার ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে ফিরছে। বাড়ির মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে খড়দা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে এলাকা থেকে উদ্ধার করে বোমা। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক জিতেন্দ্র সাহু নামে যুবকের ডান হাত উড়ে গিয়েছে। কেন বোমা বিস্ফোরণ হল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে প্রথমে জিতেন্দ্রকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, পার্শ্ববর্তী বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। জিতেন্দ্র সাহুর হাত বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশ গিয়ে বাড়িতে মজুত থাকা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে প্রচণ্ড ভয়। বোমা কেন বানানো হতো? কারা এসব কিনত? কোন কাজে ব্যবহার করা হতো? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘জানুয়ারি মাসে ৭০ হাজার বৃদ্ধাকে আর্থিক সহায়তা’, ফলতা থেকে ঘোষণা অভিষেকের
আর কী জানা যাচ্ছে? বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকার অন্যান্য বাড়িও। এমনকী কয়েকটি বাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে মজুত থাকা প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে। কেমন করে বিস্ফোরণ হয়েছে? কেন বোমা মজুত করে রাখা ছিল? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই বিষয়ে স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখান থেকে সঠিক কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা তার চেষ্টা করা হচ্ছে।