এক হকারের রক্তমাখা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আসানসোল স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে রেলের একটি আবাসনের পাশ থেকে মাথা থেঁতলানো দেহটি উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় স্টোনম্যানের আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্যাদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি এবং তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ উদ্দাম যৌনতা, খুন আর সন্দেহভাজন সাত! আসছে সারা-করিশ্মার মার্ডার মুবারক
মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম, মহম্মদ সোনু ওরফে ওয়াসিম আক্রম (২৮)। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি আসানসোলের পুরনো স্টেশন এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি স্টেশনে পানীয় জলের বোতল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে বেড়াতেন। তার স্ত্রী গোলাপশা খাতুন দাবি করেছেন, প্রতিদিনকার মতো তার স্বামী রবিবার জলের বোতল বিক্রি করতে বেড়িয়েছিলেন রাতে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর স্বামীর সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন গোলাপশা। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পরেও স্বামীর কোনও সন্ধান পাননি। শেষ পর্যন্ত সোমবার সকালে তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
মৃতদেহের পাশেই একটি রক্তমাখা পাথর পেয়েছে পুলিশ। তাতে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই পাথর দিয়ে সোনুকে কেউ বা কারা খুন করেছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোনুর পরিবারের তরফেও তাকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী। তার দাবি সোনুর কোনও শত্রু ছিল না । এই অবস্থায় কেন তাকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। তারা আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করেন। অন্যাদিকে, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফেও হকারের দেহ প্লাটফর্মে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে একলায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই খুনের ঘটনায় পুরনো শত্রুতা রয়েছে নাকি অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।