আলুচাষে ক্ষতির মুখে পড়ে আত্মঘাতী চাষির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বাঁকুড়ার কতুলপুরে ও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় প্রয়াত ২ কৃষকের বাড়ি যান তিনি। চন্দ্রকোনায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শান্ত্বনা দেন তিনি। সঙ্গে দলের তরফে ২ লক্ষ টাকা এককালীন সাহায্য তুলে দেন নিহত কৃষদের পরিবারের হাতে। বাঁকুড়ায় তাঁকে কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। সঙ্গে রাজ্যের কৃষকদের কৃষিঋণ মকুব ও বিশেষ প্যাকেজের দাবি তোলেন।
এদিন চন্দ্রকোণার ধান্যঝাটি গ্রামে প্রয়াত কৃষক ভোলানাথ বায়েনের বাড়ি যান শুভেন্দুবাবু। ঋণ নিয়ে তিন বিঘা জমিতে আলুবীজ বুনেছিলেন ভোলানাথবাবু। ডিসেম্বরের নিম্নচাপে জলের তলায় চলে যায় জমি। এর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। চাষে ক্ষতি নিয়ে গত সোমবার স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বিবাদ হয় তাঁর। রাতে বিষ পান করেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বাঁকুড়ার কতুলপুরের বালিঠ্যা গ্রামে আত্মঘাতী হন আলু চাষী তাপস কোটাল। এদিন তাঁর বাড়িতেও যাওয়ার চেষ্টা করেন শুভেন্দুবাবু। তবে তার আগেই তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে তাঁকে কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেন জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এর পর শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলছে।’
চন্দ্রকোণায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রাজ্যের কৃষকদের কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা উৎসবে খরচ করতে পারে। আর কৃষিঋণ মকুব করতে পারে না?’