একাধিক মামলা রয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে একের পর এক বিভিন্ন মামলায় ডেকে পাঠালো পুলিশ। আজ শুক্রবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ৫টি পৃথক মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের একটি দল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে নোটিশ দিয়ে আসে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে মেয়াদ শেষ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর, দায়িত্বে উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে ঘিরে পড়ুয়া এবং শিক্ষক তো বটেই বোলপুর বাসিন্দাদের একাংশের মনেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর একাধিক পদক্ষেপ, কার্যকলাপ এবং মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনার শীর্ষে থেকেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও তিনি বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছিল শান্তিনিকেতনে থানায়। তার মধ্যে ৫টি মামলার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তলব করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর মেয়াদ ফুরিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। তবে তিনি উপাচার্য হিসেবে থাকার সময় এতদিন তাঁকে পুলিশ নোটিশ পাঠায়নি। কিন্তু, উপাচার্য পদ থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওই সমস্ত মামলায় তৎপর হল পুলিশ। ১০ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এই মামলাগুলিতে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা। সেই কারণে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া এবং শিক্ষককে বহিষ্কার করেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পড়ুয়ারা বারবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবী জানিয়েছিলেন। কিন্তু, নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি পেয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা।