দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছেন। সকালবেলা নিজেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন সামসেরগঞ্জ বিধানসভার জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক স্কুলে। ভোটের লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বুথের ভেতর ঢোকেন স্থানীয় বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী মহম্মদ আসিকুল মোমিন। এদিকে তাঁকে বলা হয় ভোটার তালিকা অনুসারে তিনি মৃত। সেকারনে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। এরপর একরাশ হতাশা নিয়ে ভোট না দিতে পেরে বাড়ি ফিরে আসেন ওই 'মৃত' ভোটার। তিনি বলেন, 'পোলিং অফিসার সিরিয়াল নম্বর দেখে বললেন আপনি মৃত। আমি তো হতবাক। কিন্তু আমি তো বেঁচে আছি ,কথা বলছি কি করে? কিন্তু ভোটকর্মীরা বললেন, আপনি মৃত, এখানে আমাদের কোনও হাত নেই। নতুন করে ভোটের আবেদন করতে হবে। লোকসভায়, পঞ্চায়েতে ভোট দিয়েছি। কিন্তু এবার হঠাৎ করে মৃত হয়ে গেলাম?'
প্রায় একই ঘটনা সামসেরগঞ্জের নিমতিতা গ্রামপঞ্চায়েতের নতুন শিবনগর গ্রামে। ৭২ বছর বয়সী সামেনা বেওয়া ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তাঁকেও বলা হয় আপনি মৃত। ভোট দিতে পারবেন না। তাঁর দাবি, বিধবাভাতা পাই। কী করে মৃত হয়ে গেলাম? তিনি বলেন, আমাকে বলা হল আপনি মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে কি মনে হচ্ছে আমি মারা গিয়েছি? স্বামী মারা গিয়েছে। আমি তো বেঁচে আছি। চলেফিরে বেড়াচ্ছি। সরকারি সহায়তাও পাই। তবু বলে দিল আমি নাকি মারা গিয়েছি!