রানিগঞ্জে নারায়ণকুড়িতে ইসিএলের খনিতে ধস। সেই খোলামুখ খনি থেকে কয়লা চুরি করা হত বলে জানা গিয়েছে। এর জেরেই এই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে ধসের জেরে খনিগর্ভে চাপা পড়ে মৃত্য হয়েছে অনেকের। এই আবহে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও পুলিশের বক্তব্য অবশ্য মিলছে না। অগ্নিমিত্রার দাবি, ধসে মৃত ৭ জনের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। এদিকে পুলিশ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও অনেকেই নীচে চাপা পড়ে রয়েছে। (আরও পড়ুন: 'এরকম দু'একটা ঘটনা ঘটেই থাকে', বিহারের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের)
জানা যায়, বুধবার বিকেলে খোলামুখ খনিতে ঢুকেছিলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। খনির দেওয়ালে গর্ত করে বেআইনি উপায়ে কয়লা সংগ্রহ করতেই তারা প্রবেশ করেছিলেন সেখানে। আর সেই সময় ধসে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েকজন। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। চাপা পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধারের দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সময় বেশ কিছুক্ষণ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, 'গরিব গ্রামবাসীরা পেটের দায়ে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে চাপা পড়ছে। ইসিএল বা পুলিশ কি এতদিন এই বিষয়টা জানত না? তাহলে এতদিনেই কেন কয়লা মুখ বন্ধ করা হয়নি? আমি কাউকেই ছেড়ে কথা বলব না। ভিতরে কতজন চাপা আছে, তা আমরা কেউ স্পষ্ট ভাবে জানি না। অন্যদিকে, এলাকা অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না কয়লার ভিতর থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হচ্ছে, আমি এই এলাকায় ছেড়ে যাব না।' এদিকে রাত পর্যন্ত খনিতে ধসের কথা সরকারি ভাবে স্বীকার করেনি ইসিএল। পরে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, ইসিএলের উদ্ধারকারী দলকে ডাকা হয়। আজ সকালে পুলিশ জানায়, তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, গ্রামবাসীরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।