রিষড়ায় অশান্তির জেরে নড়েচড়ে বসল চন্দননগর পুলিশ। রিষড়া থানাকে নিয়ে নতুন সার্কল তৈরি হল। যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রিষড়া থানার প্রাক্তন ওসি প্রবীর দত্তকে। তাঁকে সার্কেলের দায়িত্বে দেওয়ার পিছনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের যুক্তি, যেহেতু প্রবীর আগে ওই থানার ওসি ছিলেন তাই তাঁর অভিজ্ঞতা এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লাগবে। প্রবীর দত্ত বর্তমানে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র অশন্তি ছড়ায় রিষড়ার কয়েকটি এলাকায়। সেই অশান্তি অব্যাহত থাকে পরের দিনও। রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে অশান্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস, শ্রীরামপুর থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এখনও এলাকায় পুলিশের টহলদারী অব্যাহত।
(পড়তে পারেন: 'সনাতন সমাজে আঘাত আসছে!' ‘বঙ্গ বিবেক’ জাগাতে গেরুয়া শিবিরের বুদ্ধিজীবীদের মিছিল)
তবে রিষড়া নিয়ে মোটেই ঢিলেঢালা ভাব আনতে চায় না চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনারবৃত্তি না হয় তাই ওসির কাজ তত্ত্বাবধানের জন্য নিযুক্ত করা হল সার্কল ইনস্পেক্টরকে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে মোট ৭টি থানা রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি থানা আইসির তত্ত্বাবধানে। এত দিন পর্যন্ত শুধু রিষড়া থানার দায়িত্বে ছিলেন একজন ওসি। এ বার তা একজন ইনস্পকটর পদপর্যাদার অধীনে চলে এল।