নতুন বছর পড়লেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার। তার আগে সলতে পাকানোর কাজ করছেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। নিজেদের খাসতালুকে গুছিয়ে নিচ্ছেন সংগঠন। তারই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার ভাঙড়ের হাতিশালায় কম্বল বিতরণের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা ওই কেন্দ্রে দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। আর সেই মঞ্চ থেকে স্থানীয় ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, ওর জামানত জব্দ করতে না পারলে পদত্যাগ করব।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন নওসাদ সিদ্দিকি। ওই কেন্দ্রের সাংসদ তথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। নওসাদকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শওকত বলেন, ‘লোকসভা ভোটে নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে দাঁড়াবেন দাঁড়াক। কিন্তু ওটা ভাঙড় নয়। আমি ডায়মন্ড হারবারের সাতগাছিয়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক। নওশাদের জামানত জব্দ যদি করতে না পারি ভোট গণনার পরের দিন ইস্তফা দেব।’ তিনি দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে যত মানুষ খুন হয়েছেন তার পিছনে রয়েছেন নওসাদ সিদ্দিকি। তবে তিনি কোন পদে ইস্তফা দেবেন সেব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি শওকত।
পালটা ISF-এর তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, আসলে নওসাদের জনপ্রিয়তা ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তারা বুঝতে পেরেছে নওসাদ ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ালে অভিষেকের হার নিশ্চিত। নওসাদ যাতে ডায়মন্ড হারবার থেকে না দাঁড়ান সেজন্য তৃণমূল নেতারা নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। শওকতের বক্তব্য সেই হুমকি সিরিজেরই অংশবিশেষ। নওসাদ ও ISF এসবে ভয় পায় না। বরং লোকসভা নির্বাচনের পর শওকত ও ক্যানিং থেকে আমদানি করা তার ভাড়াটে বাহিনীকে ভাঙড়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভাঙড় শাসন করবে ভাঙড়ের মানুষ।