কোচবিহার থেকে দ্রুত উড়ান পরিষেবা শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকাঠামোগত যে সব কাজ বাকি রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী। এখন দেখার, কবে থেকে কোচবিহার থেকে বাণিজ্যিকভাবে উড়ান পরিষেবা শুরু হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান পরিষেবা শুরু করা যায় কিনা, সেবিষয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেড বা ভিস্তারার মতো উড়ান সংস্থাগুলি ঠিক কী চাইছেন, তা বুঝে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগেই কয়েকটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য সচিব। সেই সময় প্রাথমিকভাবে কোচবিহারে বিমান পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নবান্ন। কোচবিহার থেকে কোন কোন রুটে বিমান পরিষেবা শুরু করা যায়, সে বিষয়ে বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শন করে গিয়েছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে দ্রুত উড়ান পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু কোচবিহারই নয়, রাজ্যের অন্য জায়গাতেও নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বিমানবন্দর তৈরির জন্য জোর করে কারো কাছ থেকে জমি নেওয়া হবে না।