বিগত কয়েক হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়েছে বহু দুরারোগ্য ব্যাধি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ নিরাময় করার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জুড়ি মেলা ভার। আজ এই প্রবন্ধে আপনাদের জানানো হবে কী করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এমন ১০ টি উপাদান রয়েছে যা নিয়মিত সেবন করলে আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সব সময় থাকবেন নিয়ন্ত্রণে।
গিলয়: গিলয় এমন একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা আপনার উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি গুঁড়ো অথবা রস আকারে পাওয়া যায়। মধু বা জলের সঙ্গে এটি খেতে পারেন আপনি।
গোকশুরা: গোকশুরা শুধুমাত্র ইউরিক অ্যাসিড নির্মূল করতে সাহায্য করে তা নয়, এটি যদি নিয়মিত সেবন করা যায় তাহলে আপনার কিডনিও ভালো থাকবে। জল অথবা দুধের সঙ্গে প্রতিদিন এটি খেতে পারেন আপনি।
হরিতকি: ডিটক্সিফাই বৈশিষ্ট্যকারী হরিতকি হজম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এটা সকলেই জানেন। কিন্তু হরিতকি শুধু হজম নিরাময় করতে সাহায্য করে তা নয়, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। আপনি বাজারে পাউডার অথবা ট্যাবলেট আকারে হরিতকি কিনতে পেয়ে যাবেন। গরম জল অথবা মধুর সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি।
পুনর্নভা: শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড সহ সমস্ত টক্সিন বের করে দেওয়ার জন্য এই আয়ুর্বেদিক ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। এটি পাউডার অথবা ট্যাবলেট আকারে কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। জল বা বা বাটার মিল্কের সঙ্গে আপনি প্রতিদিন এটি খেতে পারেন।
ত্রিফলা: ত্রিফলা শুধু হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় তা নয়, এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ব্যবহার করা হয়। সাধারণত গরম জল বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় ত্রিফলা। এটি মূলত ক্যাপসুল বা পাউডার আকারে পাওয়া যায় বাজারে।
আমলা: ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলা শুধু চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তা নয়, এটি উচ্চ ইউরিকের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। আমলা, জল বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি। এটি গুঁড়ো বা রস আকারে পাওয়া যায় বাজারে।
নিম: নিমের মধ্যে রয়েছে ডিটক্সিফাই বৈশিষ্ট্য, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে দেওয়ার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি চা করে খেতে পারেন বা জল অথবা মধুর সঙ্গে পান করতে পারেন আপনি।
শিলাজিৎ: শিলাজিৎ এমন একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যাতে থাকে ফুলভিক অ্যাসিড যা কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি দুধ বা জলে মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি। বাজারে ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায় শিলাজিৎ।
হলুদ: হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি দুধ বা জলের সঙ্গে খেতে পারেন আপনি। আপনি বাজারে হলুদ পেয়ে যাবেন পাউডার বা ক্যাপসুল আকারে।
ধনে: আপনি যদি রোজ ধনে গুঁড়ো খেতে পারেন তাহলে আপনার প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যাবে অচিরে, শুধু তাই নয় ইউরিক অ্যাসিড নির্মূল করতে ধনের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন খাবারে ধনে গুঁড়ো দিয়ে খেতে পারেন আপনি।