বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের একবার ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে ফেল করিয়েছেন ওই অধ্যাপক। এই অভিযোগে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ডিএসও-র নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। অবিলম্বে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তুলেছে তারা। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ সেমেস্টারের ফল বেরোয়। অভিযোগকারিনীর দাবি, তাতে একটি নির্দিষ্ট পত্র ছাড়া বাকি সমস্ত বিভাগে পাশ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ওই পত্রটির খাতা দেখেছিলেন যে অধ্যাপক, কয়েক মাস আসে তিনি ছাত্রীকে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ফেল করিয়েছেন অধ্যাপক।
এই মর্মে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রী। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি তলব করে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। তিনি বলেন, ২৮ বছরের চাকরি জীবনে কোনও দিন এমন অভিযোগ ওঠেনি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি ডিএসওর এক নেতাকে পড়াশুনো না করায় বকাবকি করেছিলাম। প্রতিহিংসায় সেই ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে। অধ্যাপকের দাবি, ছাত্রীর অভিযোগে সত্যতা থাকলে আগেই অভিযোগ জানাতে পারত সে। খাতা রিভিউ করালেই বিষয়টি জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে অভিযোগ অধ্যাপকের।
মাস তিনেক আগেও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের বিহিত হওয়ার আগেই ফের একই অভিযোগে ক্ষোভ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে।