স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আন্দোলন ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল চলছে। রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন তো বটেই, এবার স্কুল খোলার দাবিতে পথে নেমেছেন পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষক, অধ্যাপকরা। তাদের দাবি, আর অনলাইনে ক্লাস নয়, এবার সশরীরে ক্লাস করাতে হবে।
শুক্রবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে এই দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করতে যায় দেখা যায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবব্রত দাস বলেন, 'উৎসব, খেলা, মেলা সবকিছুর জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পাড়ায় শিক্ষালয়ের মত উদ্যোগ চালু করা হচ্ছে। যা সার্বিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জরুরি নয়।' বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক অধ্যাপক হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, 'রাজ্যে আগে চিড়িয়াখানা খোলা হয়ে গেল অথচ স্কুল খুলল না। শিক্ষিত মানুষ হিসেবে এটা ভাবতে আমাদের লজ্জা লাগছে। ' এই দাবিতে দিন বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।'
অন্যদিকে, রামপুরহাটে এসইউসিআই'য়ের মহিলা সংগঠন স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। দুর্গাপুরে স্কুল খোলার দাবিতে পড়ুয়াদের এদিন পথে নামতে দেখা যায়। একই ছবি দেখা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর পশ্চিম, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি এবং মালদাতে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, 'স্কুল না খুলে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করে বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশিদার হতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।' যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল খোলার ব্যবস্থা নেবেন।'