তিনি বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই সরকারের দুর্নীতি কীভাবে সামনে এসেছে তা আপনারা দেখেছেন। পরেশ অধিকারীর মেয়ে এবং ২৬৯ জনের প্রাথমিকে চাকরি গিয়েছে। তার সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন গাজী বলে একজন ভুয়ো অঙ্কের মাস্টারের চাকরি গিয়েছে।’
এসএসসি, টেট দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে মেঁচেদা বাইপাস পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর সেখানে জনসভা করে এসএসসি, টেট দুর্নীতি, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একের পর এক রাজ্য সরকারকে তিনি আক্রমণ করেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। শুভেন্দুর দাবি, শিক্ষক নিয়োগে এতটাই দুর্নীতি হয়েছে যে আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার জনের চাকরি যাবে। তিনি বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই সরকারের দুর্নীতি কীভাবে সামনে এসেছে তা আপনারা দেখেছেন। পরেশ অধিকারীর মেয়ে এবং ২৬৯ জনের প্রাথমিকে চাকরি গিয়েছে। তার সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন গাজী বলে একজন ভুয়ো অঙ্কের মাস্টারের চাকরি গিয়েছে। এ তো দুর্নীতির হিমশৈলের চূড়া মাত্র এখনও কিছু হয়নি। সবে তো ভোরবেলা। ১০-১৫ হাজার জনের চাকরি মিনিমাম যাবে। যাদের ভুয়ো মার্কশিট অথবা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি থাকবে না।’
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘তালিকা তৈরি হয়েছে। রামনগরের এমএলএ ২২ জনের তালিকা তৈরি করে টাকা তুলেছেন।’ সিবিআই তাকে দ্রুত তলব করতে চলেছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রের একাধিক যোজনার নাম বদল করা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদল করে বাংলা আবাস যোজনা করা হয়েছে। স্টিকার লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এসব কাজ করছেন।’ এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সবচেয়ে বড় তোলাবাজ’ বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ, এদিনের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রিওয়াল -সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।