আজ রাত পোহালেই কাল রবিবার কালীপুজো। তার মধ্যেই আগে থেকে ভিড় উপচে পড়েছে তারাপীঠে। কালীপুজোর দিনে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় তারাপীঠে। এখানে পুজো দিতে আসেন বিপুল পরিমাণ মানুষ। কিন্তু অনলাইনে যদি গঙ্গাসাগরে পুজো দেওয়া যায় তাহলে এখানেও নিশ্চয়ই এমন ব্যবস্থা থাকবে। এই বিষয়টি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ অনেকেই এই দিনে আসতে পারেন না। তাই এমন ব্যবস্থা থাকলে পুজোটা দেওয়া যাবে। আবার বাড়ি বসে তারা মাকে দর্শন করা যাবে। পুজো নিবেদনের রাস্তা এভাবেই খোঁজেন তাঁরা। একাধিক মানুষজন অনলাইনে পুজো দেওয়ার রাস্তা অবলম্বন করেন। এমন ব্যবস্থা কি থাকছে? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে বাড়িতে বসে অনলাইন মাধ্যমে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে চান অনেকেই। তবে এভাবে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে খবর। কারণ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে মন্দির কমিটি। বাড়ি বসে কালীপুজো থেকে শুরু করে অন্য কোনও বিশেষ তিথিতে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়া যায় না। তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই বলে খবর। ভক্তদের আবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, মন্দির কমিটির বক্তব্য, তারা মায়ের কাছে পুজো দিতে হলে আসতে হবে মন্দিরেই। এছাড়া কোনও বিকল্প পথ নেই।
কেন এমন সিদ্ধান্ত মন্দির কমিটির? এভাবে পুজোর ব্যবস্থায় প্রতারণার ঝুঁকি থাকে। তার উপর বিশেষ দায়িত্বে কাউকে রাখতে হয়। তাছাড়া মন্দির কমিটি এই পুজো অনেক সময়ই পায় না। এই বিষয়ে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সহ–সভাপতি ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তারাপীঠ মন্দিরের কোন নিজস্ব অনলাইন ব্যবস্থা নেই। সুতরাং পুজো দিয়ে প্রসাদ পৌঁছে যাবে এমন ভাবনা ঠিক নয়। ফেসবুক এবং ওয়েবসাইট দেখে অনেক ভক্তই তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। আর তাঁরা প্রতারিত হন। তাই আমরা বহুবার সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছি। অনেক ভক্তের অভিযোগ এসেছে আগে। তাই ভক্তদের উদ্দেশে আমাদের একটাই বার্তা—দয়া করে অনলাইনে কোনও বিজ্ঞাপন দেখে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেবেন না। অনলাইনে পূজো দেওয়ার ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে নেই। পরিচিত সেবায়েত যদি কেউ থাকে তার মাধ্যমে পুজো দিতে পারেন। সেবায়েতরা ডাকযোগে প্রসাদ পাঠিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: ইস্তফা দেওয়া অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডাক রাজ্যপালের, কেন সাক্ষাতের আহ্বান?
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন কালীপুজো উপলক্ষ্যে তারাপীঠ সংলগ্ন হোটেল, লজ সব বুক হয়ে গিয়েছে। ভিড় এখানে জনস্রোতের আকার নিয়েছে। রাস্তাঘাটে সেই স্রোত উপচে পড়েছে। যা কাল রবিবার মন্দিরে আছড়ে পড়বে পুজো দিতে। এই বিষয়ে তারাপীঠ মন্দিরের এক সেবায়েত বলেন, ‘আগে ভিড় এড়াতে মানুষজন সেবায়েত মারফত পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে এই অনলাইন মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। অনেকে ভক্তকেই প্রতারণার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এখন অনলাইন মাধ্যমে পুজো নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। পুলিশের ঝামেলা পোহাতে তো কারও ভাল লাগে না।’