গত বছর আমফানের সময়তেও কলকাতার রাস্তায় প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে। এর জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে সেসময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের বনদফতরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম। দ্রুত গাছ কেটে সেইসময় রাস্তা পরিষ্কার করে ফের কলকাতাকে স্বাভাবিক করেছিল ওই টিম। ফের কলকাতায় আসছেন তাঁরা। এবার লড়াইটা আরও কঠিন। একদিকে করোনা সুরক্ষা বিধি মানতে হবে তাঁদের। অন্য়দিকে শহর স্বাভাবিক করতে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যেই বনদফতরের বৈকণ্ঠপুর ডিভিশনের ৪০জনের একটি টিম শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছেন।
বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিএফও জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘৪০জনের টিম আমরা পাঠাচ্ছি। ওরা কলকাতায় গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে যাবে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে তারা দ্রুত কাজে নেমে পড়বে। গতবারও আমফানের সময় ২৫জনের একটি টিম গিয়েছিল কলকাতায়। এবার টিমটা আরও বড় করা হয়েছে। গতবার ভালো কাজ করেছিল ওরা। এবারও নির্দেশ পাওয়ার পরেই ওদের পাঠানো হচ্ছে। কোভিড প্রটোকল মেনেই ওরা কাজ করবেন।’ বনদফতর সূত্রে খবর, গত বছর আমফান হয়ে যাওয়ার পর বৈকুন্ঠপুর ডিভিশন থেকে টিম কলকাতায় এসে পৌঁছায়। এবার আগাম টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। ঝড় বয়ে যাওয়ার পরেই যাতে তারা ময়দানে নেমে পড়তে পারে সেকারণে তাদের রাখা হচ্ছে। গাছ পরিষ্কারের যাবতীয় উপকরণ তাদের কাছে রয়েছে।